শামসুল আলম শারেক, টেকনাফ: 

টেকনাফের হ্নীলা ইউপির সদস্য, তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারী শামসুল আলম ওরফে বাবুল মেম্বারের ছেলে আল ফাহাদকে ছয় মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার বাবুল মেম্বার রহস্যজনক কারণে অধরাই থেকে যাচ্ছেন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিকের আদালত বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালানো এবং লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভিং করার অপারাধে ১৯৮৩ সনের মোটর যান অধ্যাদেশের ১৩৮ ও ১৪৩ ধারা মতে ফাহাদকে ছয় মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ড প্রদান করে। দন্ডিত ফাহাদের বাবা শামসুল আলম ওরফে বাবুল মেম্বার একজন তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। সে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সব ইয়াবা তালিকায় এ ইউপি সদস্যের নাম রয়েছে। গত জুলাই মাসে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে বাবুল মেম্বারের স্ত্রী ছালেহা বেগমকে ১০হাজার পিচ ইয়াবাসহ ফুলের ডেইলস্থ বাড়ী থেকে হাতে নাতে আটক করেন। ঐসময় পুলিশের বিশেষ টীম বাবুল মেম্বারকে আটক করতে গেলেও গোপন আতাঁতের কারণে সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বাবুল মেম্বারের নেতৃত্বে প্রতিদিন মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা গরু মহিষ বিজিবি ক্যাম্পের পাশ দিয়ে এনে বেছাবিক্রি করা হচ্ছে। রহস্যজনক কারণে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে।

হ্নীলা সীমান্ত দিয়ে স্থানীয়রা বলছেন, বাবুল মেম্বার ঐসময় পালিয়ে নিকটস্থ বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। এখনো বাবুল মেম্বার বিজিবির জনৈক কোম্পানী কমান্ডারের আশ্রয়ে থাকেন বলে জানা গেছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন খাঁন জানান, বেপরোয়া গতিতে মোটর সাইকেল চালানো এবং লাইসেন্স অবৈধ মোটর সাইকেল ড্রাইভিংয়ের কারণে মাদক ব্যবসায়ী বাবুল মেম্বারের ছেলেকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৬মাসের সাজা প্রদান করা হয়েছে।